স্বদেশ ডেস্ক:
পুনঃনির্বাচনে হারার তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় পরে প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো তার হারের জন্য একটি সফটওয়্যার ভাইরাসকে দায়ী করেছেন। ফলে নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের কাছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে দেয়া দেশের বেশিরভাগ ভোট বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
যদিও নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এই ভাইরাস ভোটের ফলাফলের নির্ভরযোগ্যতাকে প্রভাবিত করে না।
নির্বাচনী কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যেই বলসোনারোর নিয়তি, বামপন্থী সাবেক প্রেসিডেন্ট কুইজ ইনাসিও লুলা ডি সিলভার বিজয় ঘোষণা করেছে। এমনকি প্রেসিডেন্টের অনেক মিত্রও এ ফলাফল মেনে নিয়েছেন। সারা দেশের বিক্ষোভকারীরা এই ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকার করেছে। বলসোনারোও পরাজয় মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
লিবারেল পার্টির নেতা ভালদেমার কস্তা এবং পার্টির নিয়োগ করা একজন নিরীক্ষক ব্রাসিলিয়ায় সাংবাদিকদের বলেন, তাদের মূল্যায়নে ২০২০ সালের আগেকার সমস্ত মেশিনে অভ্যন্তরীণ লগগুলোতে পৃথক সনাক্তকরণ নম্বরের অভাব ছিল। এরকম মেশিনের সংখ্যা প্রায় দু’লাখ ৮০ হাজার, যা ৩০ অক্টোবর নির্বাচনে ব্যবহৃত মেশিনের প্রায় ৫৯ শতাংশ।
কেউই ব্যাখ্যা করেননি যে, এটি কিভাবে নির্বাচনের ফলাফলকে প্রভাবিত করতে পারে। তবে বলেন, তারা নির্বাচনী কর্তৃপক্ষকে সেই মেশিনগুলোতে দেয়া সমস্ত ভোট বাতিল করতে বলছে।
এর পরপরই নির্বাচনী কর্তৃপক্ষের প্রধান একটি আদেশ জারি করেন। এই আদেশ বলসোনারোর নিজের দল এই ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে- পরোক্ষভাবে এমন সম্ভাবনা তৈরি করেছিল।
১৯৯৬ সালে ব্রাজিল ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম ব্যবহার করা শুরু করে এবং নির্বাচনী নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা এই ধরনের সিস্টেমগুলোকে কাগজের ব্যালটের চেয়ে কম নিরাপদ বলে মনে করেন। কিন্তু ব্রাজিলের ব্যবস্থাটি দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা ঘনিষ্ঠভাবে যাচাই করা হয়েছে। তারা এর মধ্যে প্রতারণার কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।
সূত্র : ভয়েস অফ আমেরিকা